শান্তিগঞ্জ উপজেলা
ভূমিকা:
শান্তিগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২৭ জুলাই ২০০৬ তারিখে প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে “দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা” নামক উপজেলা ঘোষণা করা হয়, এর ফলে ১৮ মে ২০০৮ তারিখ থেকে এ উপজেলাটি নবসৃষ্ট উপজেলা হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে।
নামকরণ: সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণাংশে অবস্থিত হওয়ায় নবসৃষ্ট উপজেলার নাম রাখা হয় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ। উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন শান্তিগঞ্জ বাজার এর নামানুসারে ২০২১ সালের ২৬ জুলাই এ উপজেলার নাম পরিবর্তন করে “শান্তিগঞ্জ উপজেলা” রাখা হয় (বাংলাদেশ গেজেট, আগস্ট ১৬, ২০২১)।
অবস্থান ও আয়তন:
এই উপজেলার উত্তরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা, দক্ষিণে জগন্নাথপুর উপজেলা, পূর্বে ছাতক উপজেলা ও জগন্নাথপুর উপজেলা, পশ্চিমে দিরাই উপজেলা ও জামালগঞ্জ উপজেলা। উপজেলার আয়তন ৩০৩.১৭ বর্গকি.মি.।
মানচিত্র: শান্তিগঞ্জ উপজেলা
প্রশাসনিক এলাকা:
শান্তিগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম শান্তিগঞ্জ থানার আওতাধীন।
প্রশাসনিক এলাকা ভিত্তিক আয়তন, জনসংখ্যা (জনশুমারি ও গৃহ গণনা-২০২২) ও ভোটার সংখ্যা
ক্র. নং |
ইউনিয়ন/ পৌরসভা |
আয়তন |
জনসংখ্যা |
ভোটার সংখ্যা |
|||||
পুরুষ |
মহিলা |
মোট |
পুরুষ |
মহিলা |
তৃতীয় লিঙ্গ |
মোট |
|||
০১ |
শিমুলবাক |
৯৯৭৮ একর |
১৫৩৪৮ |
১৬৬৮৭ |
৩২০৩৫ |
১১৭৬০ |
১০৮২৮ |
০ |
২২৫৮৮ |
০২ |
জয়কলস |
৯৫৮৫ একর |
২১৯৩০ |
২৩০৬৯ |
৪৪৯৯৯ |
১৪৮৩০ |
১৪৩৮৭ |
২ |
২৯২১৭ |
০৩ |
পশ্চিম পাগলা |
৭৮৯৬ একর |
৯৪৬৯ |
১০১৭৮ |
১৯৬৪৭ |
৭৬২১ |
৭৭০৫ |
০ |
১৫৩২৬ |
০৪ |
পূর্ব পাগলা |
৬৯৩২ একর |
১১১৩৯ |
১২৭০১ |
২৩৮৪০ |
৮৬৭২ |
৮২০০ |
০ |
১৬৮৭২ |
০৫ |
দরগাপাশা |
৯৪৭৭ একর |
১১৯৩২ |
১২৭৫২ |
২৪৬৮৪ |
৯৪৮১ |
৯২৭৪ |
০ |
১৮৭৫৫ |
০৬ |
পূর্ব বীরগাঁও |
৭৮১৮ একর |
৮২৭৫ |
৮৮৫৬ |
১৭১৩১ |
৬১৬৩ |
৬২২৮ |
০ |
১২৩৯১ |
০৭ |
পশ্চিম বীরগাঁও |
১৪৯১২ একর |
৭৯০২ |
৮৫৫০ |
১৬৪৫২ |
৬১০২ |
৫৯৬২ |
০ |
১২০৬৪ |
০৮ |
পাথারিয়া |
৮৩১৬ একর |
১২৮৬৪ |
১৩৩৩১ |
২৬১৯৫ |
৯৩২১ |
৮৮৩৮ |
০ |
১৮১৫৯ |
মোট |
৭৪৯১৪ একর |
৯৮৮৫৯ |
১০৬১২৪ |
২০৪৯৮৩ |
৭৩৯৫০ |
৭১৪২২ |
২ |
১৪৫৩৭৪ |
|
সর্বমোট |
৭৪৯১৪ একর |
* তৃতীয় লিঙ্গ- ১৫ |
২০৪৯৯৮ |
তৃতীয় লিঙ্গ |
২ |
১৪৫৩৭৪ |
এক নজরে শান্তিগঞ্জ উপজেলা
ক্র. নং |
বিষয় |
বৈশিষ্ট্য |
মন্তব্য |
|
উপজেলার আয়তন |
৩০৩.১৭ বর্গকিমি বা ৭৪৯১৪.৯৫ একর |
(জনশুমারি ও গৃহ গণনা-২০২২) |
|
উপজেলার জনসংখ্যা |
২০৪৯৯৮ জন। (পুরুষ ৯৮৮৫৯ জন, মহিলা ১০৬১২৪ জন, তৃতীয় লিঙ্গ- ১৫ জন) |
(জনশুমারি ও গৃহ গণনা-২০২২) |
|
মোট ভোটার সংখ্যা |
১৪৫৩৭৪ জন (পুরুষ ৭৩৯৫০ জন, মহিলা ৭১৪২২ জন, তৃতীয় লিঙ্গ- ২ জন)) |
উপজেলা নির্বাচন অফিস |
|
সংসদীয় আসন |
শান্তিগন্জ ও জগন্নাথপুর, আসন নং-২২৬ |
উপজেলা নির্বাচন অফিস |
|
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার |
০.৯৭% |
(জনশুমারি ও গৃহ গণনা-২০২২) |
|
স্বাক্ষরতার হার |
৬৫.১৭% (৭ বছর ও তদূর্ধ্ব) |
(জনশুমারি ও গৃহ গণনা-২০২২) |
|
ইউনিয়ন সংখ্যা |
৮ |
(জনশুমারি ও গৃহ গণনা-২০২২) |
|
আয়তনে বড় ইউনিয়ন |
পশ্চিম বীরগাঁও |
উপজেলা ভূমি অফিস |
|
জনসংখ্যায় বড় |
জয়কলস |
(জনশুমারি ও গৃহ গণনা-২০২২) |
|
মৌজা সংখ্যা |
১১৯ |
উপজেলা ভূমি অফিস |
|
গ্রাম সংখ্যা |
১৭১ |
(জনশুমারি ও গৃহ গণনা-২০২২) |
|
নগরায়ন |
৭.৬% |
(জনশুমারি ও গৃহ গণনা-২০২২) |
|
বিসিক শিল্প নগরী |
১টি (নির্মানাধীন) |
উপজেলা প্রশাসন |
|
বিশ্ববিদ্যালয় |
১টি |
উপজেলা প্রশাসন |
|
মেডিকেল কলেজ |
১টি (অস্থায়ী) |
উপজেলা প্রশাসন |
|
টেক্সটাইল ইনস্টিটিউড |
১টি |
উপজেলা প্রশাসন |
|
নার্সিং ইনস্টিটিউট |
১টি (নির্মানাধীন) |
উপজেলা প্রশাসন |
|
ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট |
১টি (নির্মানাধীন) |
উপজেলা প্রশাসন |
|
মহাবিদ্যালয় |
৪টি |
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস |
|
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় |
২টি |
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস |
|
এমপিও মাধ্যমিক বিদ্যালয় |
১২টি |
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস |
|
নন-এমপিও মাধ্যমিক বিদ্যালয় |
- |
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস |
|
এমপিও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় |
১টি |
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস |
|
নন-এমপিও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় |
৫টি |
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস |
|
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় |
৯৭টি |
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস |
|
রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয় |
- |
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস |
|
কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় |
- |
এনজিও পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয় ১১টি (সূত্র:উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস) |
|
সরকারি মাদ্রাসা |
- |
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস |
|
এমপিও মাদ্রাসা |
৪টি |
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস |
|
নন-এমপিও মাদ্রাসা |
৩টি |
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস |
|
কওমি মাদ্রাসা |
৪১টি |
ইসলামিক ফাউন্ডেশন |
|
এতিমখানা |
৪টি। একটি নিবন্ধিত। |
ইসলামিক ফাউন্ডেশন |
|
মডেল মসজিদ |
১টি (নির্মানাধীন) |
ইসলামিক ফাউন্ডেশন |
|
মসজিদ |
৩৩০টি |
ইসলামিক ফাউন্ডেশন |
|
মন্দির |
১০টি |
উপজেলা এলজিইডি অফিস |
|
গীর্জা |
- |
উপজেলা প্রশাসন |
|
প্যাগোডা |
- |
উপজেলা প্রশাসন |
|
স্বাস্থ্য কেন্দ্র |
স্বাস্থ্য কেন্দ্র ৬টি, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ০১টি |
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস |
|
সরকারি হাসপাতাল |
১টি |
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস |
|
বেসরকারি হাসপাতাল |
- |
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস |
|
কমিউনিটি ক্লিনিক |
২৫টি, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ৬টি |
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস |
|
প্রাইভেট ক্লিনিক |
১টি |
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস |
|
মোট জমি |
২৪২৩৫ হেক্টর |
উপজেলা কৃষি অফিস |
|
মোট আবাদী জমি |
২৪২৩৫ হেক্টর |
উপজেলা কৃষি অফিস |
|
বোরো ফসলাধীন জমি |
২২২২৫ হেক্টর |
উপজেলা কৃষি অফিস |
|
আউশ ফসলাধীন জমি |
৪০ হেক্টর |
উপজেলা কৃষি অফিস |
|
আমন ফসলাধীন জমি |
২১৩০ হেক্টর |
উপজেলা কৃষি অফিস |
|
বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত |
৩৫৬০ মিলিমিটার |
উপজেলা প্রশাসন |
|
বার্ষিক গড় তাপমাত্রা |
২৭.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস |
উপজেলা প্রশাসন |
|
আর্দ্রতা |
৭৮-৯০ % |
উপজেলা প্রশাসন |
|
মৎস্য হ্যাচারী |
১টি |
উপজেলা মৎস্য অফিস |
|
নদী |
২১টি |
উপজেলা প্রশাসন |
|
খাল |
খাল-বিল ৫৭টি। |
উপজেলা মৎস্য অফিস |
|
বিল |
উপজেলা মৎস্য অফিস |
|
|
ঝিল |
- |
উপজেলা মৎস্য অফিস |
|
হাওর |
৫টি |
উপজেলা মৎস্য অফিস |
|
বদ্ধ জলমহাল (২০ একরের ঊর্ধ্বে) |
৫৪টি |
উপজেলা ভূমি অফিস |
|
বদ্ধ জলমহাল (২০ একরের নিচে) |
৭২টি |
উপজেলা ভূমি অফিস |
|
উন্মুক্ত জলমহাল |
১টি |
উপজেলা ভূমি অফিস |
|
খেয়াঘাট/ নৌকাঘাট |
৪টি |
উপজেলা এলজিইডি অফিস |
|
বাস স্ট্যান্ড |
৪টি |
উপজেলা প্রশাসন |
|
রেল স্টেশন |
- |
উপজেলা প্রশাসন |
|
হাট-বাজার |
১৫টি |
উপজেলা প্রশাসন |
|
ডাকঘর |
১১টি |
উপজেলা প্রশাসন |
|
ইউনিয়ন ভূমি অফিস |
২টি |
উপজেলা ভূমি অফিস |
|
আবাসন/আশ্রয়ণ প্রকল্প |
আবাসন প্রকল্প ১৭টি, আশ্রয়ণ কেন্দ্র ৪টি |
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস |
|
আশ্রয়ন প্রকল্পের অধীন উপকারভোগী |
৪৫৩টি পরিবার |
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস |
|
সরকার ঘোষিত বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র |
৫৩টি |
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস |
|
মুজিব কেল্লা |
১টি |
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস |
|
আদর্শ গ্রাম |
গুচ্ছগ্রাম ১টি |
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস |
|
এলজিইডি কর্তৃক বাস্তবায়িত গ্রোথ সেন্টার |
১২টি |
উপজেলা এলজিইডি অফিস |
|
পাকা রাস্তা |
১৫৫.৩১ কিমি |
উপজেলা এলজিইডি অফিস |
|
কাঁচা রাস্তা |
১৯২.১৮ কিমি |
উপজেলা এলজিইডি অফিস |
|
শান্তিগঞ্জ টু সিলেট সড়ক দূরত্ব |
৫২ কি. মি. |
উপজেলা এলজিইডি অফিস |
|
শান্তিগঞ্জ টু সুনামগঞ্জ সড়ক দূরত্ব |
১৭ কি. মি. |
উপজেলা এলজিইডি অফিস |
|
শান্তিগঞ্জ টু বিশম্ভরপুর সড়ক দূরত্ব |
৩০.৯ কি. মি. |
গুগল ম্যাপ |
|
শান্তিগঞ্জ টু তাহিরপুর সড়ক দূরত্ব |
৪৭.৫ কি. মি. |
গুগল ম্যাপ |
|
শান্তিগঞ্জ টু ছাতক সড়ক দূরত্ব |
৪১.৫ কি. মি. |
গুগল ম্যাপ |
|
শান্তিগঞ্জ টু জগন্নাথপুর সড়ক দূরত্ব |
২৫.৮ কি. মি. |
গুগল ম্যাপ |
|
শান্তিগঞ্জ টু ধর্মপাশা সড়ক দূরত্ব |
৬৫.৬ কি. মি. |
গুগল ম্যাপ |
|
মোট ব্যাংকের শাখা |
৬টি |
1. পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক,শান্তিগঞ্জ। 2. সোনালী ব্যাংক পিএলসি, শান্তিগঞ্জ শাখা। 3. কৃষি ব্যাংক, শান্তিগঞ্জ শাখা। 4. কৃষি ব্যাংক, পাথারিয়া শাখা। 5. পূবালী ব্যাংক, পাগলা শাখা। 6. কর্মসংস্থান ব্যাংক, শান্তিগঞ্জ শাখা। |
|
নিবন্ধিত সমবায় সমিতি |
১৯৪টি |
উপজেলা সমবায় অফিস |
|
নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন |
৬৪টি |
উপজেলা সমাজসেবা অফিস |
|
প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল |
১টি |
উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস |
|
কৃত্রিম প্রজনন উপকেন্দ্র |
১টি |
উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস |
|
গরু-মহিষের খামার |
১৮৬টি। দুগ্ধ খামার (গাভী) ৬২টি, হৃষ্টপু্ষ্টকরণ খামার ১২৪টি |
উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস |
|
ছাগলের খামার |
১৩৬টি |
উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস |
|
ভেড়ার খামার |
২১২টি |
উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস |
|
বিদ্যুৎ সুবিধাভোগীর সংখ্যা |
৩৩৬৩৮ টি পরিবার |
উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস |
|
বিদ্যুতায়িত গ্রাম |
১৭১টি (শতভাগ বিদ্যুতায়িত) |
উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস |
|
টেলিফোন গ্রাহক |
২২ জন |
বিটিসিএল |
|
ইন্টারনেট ব্যবহারকারী (ব্রডব্যান্ড) |
২৫০ জন (সচল ১৮০ জন) |
আইএসপি |
|
গভীর/অগভীর টিউবওয়েল |
গভীর – ৪০৮৫টি, অগভীর – ৭৭৯টি |
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস |
|
সরকারি রিজার্ভ ফরেস্ট/বন |
- |
বনবিট অফিস, সুনামগঞ্জ |
|
সামাজিক বনায়ন |
১১ একর |
বনবিট অফিস, সুনামগঞ্জ |
|
ব্যক্তিগত বনায়ন বসতভিটায় বন (বাঁশবাগান/বিক্ষিপ্ত বনজ/ফলজ গাছ) |
৭৫০৬ একর |
উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস |
|
স' মিলের সংখ্যা |
২৪টি |
উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস |
|
ভাতাপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা |
১৩১ জন |
সোনালী ব্যাংক পিএলসি, শান্তিগঞ্জ শাখা। |
|
বয়স্ক ভাতা উপকারভোগী |
৬৪০০ জন |
উপজেলা সমাজসেবা অফিস |
|
প্রতিবন্ধী ভাতা উপকারভোগী |
৩৫৮১ জন |
উপজেলা সমাজসেবা অফিস |
|
ভাতাভোগী হিজড়া সদস্য |
৩ জন |
উপজেলা সমাজসেবা অফিস |
|
অনগ্রসর সম্প্রদায় ভাতা উপকারভোগী |
১০ জন |
উপজেলা সমাজসেবা অফিস |
|
প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষা উপবৃত্তি ভাতা উপকারভোগী |
১০৭ জন |
উপজেলা সমাজসেবা অফিস |
|
মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচীর উপকারভোগী |
৫৬৪ জন |
উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক অফিস |
|
VWB কর্মসূচীর উপকারভোগী |
১৯৮৩ জন |
উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক অফিস |
|
কিশোর-কিশোরী ক্লাব |
০৮টি |
উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক অফিস |
|
শিশু সুরক্ষা কমিনিউটি হাব |
২৫টি |
উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক অফিস |
|
এনজিও সংখ্যা |
১৯টি |
উপজেলা প্রশাসন |
|
সেবা উপকারভোগী ও প্রকল্প বিষয়ক তথ্যভিত্তিক শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিজস্ব ওয়েবসাইট |
www.pibisshantiganj.info |
শান্তিগঞ্জ উপজেলার এক লক্ষের অধিক ব্যক্তির তথ্যসম্বলিত, যা প্রতিনিয়ত হালনাগাদকরণ চলমান |
|
শান্তিগঞ্জ উপজেলার সরকারি ওয়েবপোর্টাল |
www.shantiganj.gov.bd |
উপজেলাধীন সকল প্রতিষ্ঠানের তথ্যসম্বলিত |
প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব:
আব্দুর রশীদ চৌধুরী:
সিলেটের দরগাপাশার একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন এবং দিল্লিস্থ বৃটিশ ভারতের কেন্দ্রীয় বিধানসভার সদস্য ছিলেন।
আব্দুর রশীদ চৌধুরী এবং আব্দুল মতিন চৌধুরী মিলে মিনার প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশিং লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন ১৪ জুলাই ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে যা যুগভেরী নামক সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করে। এর আগে তিনি সিলেটে অতিরিক্ত সহকারী কমিশনার হিসেবে কাজ করেছেন। পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন মকবুল হোসেন চৌধুরী। চৌধুরী সাহেব একজন চা ব্যবসায়ী এবং সিরাজনগর ও রশীদাবাদ চা বাগানের মালিক ছিলেন। এছাড়াও তিনি হমদর্দ চা কোম্পানি লিমিটেড এবং দিলকুশা চা বাগানের মালিক ছিলেন।
আব্দুর রশীদ চৌধুরী ১৯৪০-এর দশকে দিল্লিস্থ বৃটিশ ভারতের কেন্দ্রীয় বিধানসভায় শ্রীহট্ট জেলা প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি আসাম প্রদেশের মুসলিম ব্লক থেকে স্বাধীন ছিলেন।
আব্দুর রশীদ চৌধুরীর প্রথম স্ত্রী রাজিয়া বেগমের থেকে তিন ছেলে ছিল। প্রথম স্ত্রীর ইন্তেকালের বাদে আব্দুর রশীদ চৌধুরী রাজনগরের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরীকে বিয়ে করেছিলেন। সিরাজুন্নেসা চৌধুরীর সাত সন্তান ছিল। তার ছেলে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী একজন কূটনীতিক এবং পরে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার ছিলেন। তার আরেক ছেলে ফারূক রশীদ চৌধুরী বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আব্দুর রশীদ চৌধুরী ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন।
হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী:
(১১ নভেম্বর ১৯২৮ - ১০ জুলাই ২০০১) বাংলাদেশের একজন কূটনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৪১তম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। ছিলেন সিলেট-১ ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে স্বাধীনতা পদক প্রদান করেন।
জন্ম ১১ নভেম্বর ১৯২৮ সালে সিলেট শহরের আম্বরখানা এলাকার দরগাহ গেইটের ‘রশীদ মঞ্জিলে’। তার পৈতৃক নিবাস সুনামগঞ্জ জেলার দরগাপাশা গ্রামে। তার বাবা আব্দুর রশীদ চৌধুরী ছিলেন অবিভক্ত ভারতের কেন্দ্রীয় বিধানসভার সদস্য এবং সিলেট অঞ্চলের আদি সংবাদপত্র যুগভেরী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা। মা বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য। সিলেটের প্রাচীনতম পত্রিকা যুগভেরী সম্পাদক আমীনূর রশীদ চৌধুরী ছিলেন তার বড় ভাই ও সাবেক অর্থমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ফারুক রশীদ চৌধুরী তার ছোট ভাই।
হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার হাই মাদ্রাসা সেকশনে প্রাথমিক শিক্ষা ও আসামে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৪৪ সালে ৮টি ক্রেডিটসহ সিনিয়র ক্যামব্রিজ পাশ করেন।
১৯৪৭ সালে আলীগড় মুসলীম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞান, রসায়ন ও ভূগোল বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী। তারপর ইংলিশ বারে অধ্যয়ন করেন ও লন্ডনের ইনার টেম্পলের একজন সদস্য হন। লন্ডনেরই 'আন্তর্জাতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠান' থেকে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও, ম্যাসাচুসেটসের ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। গ্রেট ব্রিটেন ও ইউরোপে পাকিস্তান ছাত্র সংসদের সভাপতি ছিলেন। সে সুবাদেই তিনি যুক্তরাজ্যে প্রথম এশিয়ান স্টুডেন্টস কনফারেন্স আয়োজনে সক্ষমতা দেখান।
ছাত্র রাজনীতির সাথেও সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৫১ সালে যুক্তরাজ্যস্থ পাকিস্তান ছাত্র ফেডারেশনের সম্পাদক এবং ১৯৫২ সালে এই সংঘটনের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।
হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ১৯৫৩ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগে যোগদান করেন। এর ফলে তিনি ঐ বিভাগের আওতায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ নেন। এছাড়াও, লন্ডনের ব্রিটিশ বৈদেশিক কার্যালয় এবং কমনওয়েলথ কার্যালয়েও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ১৯৭১ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তখন তিনি নতুন দিল্লীতে বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ছিলেন। ৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে ভারতীয় লোকসভায় তিনি বক্তৃতা করেন।
কূটনীতিবিদ হিসেবে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে অবস্থান করেছিলেন। তন্মধ্যে রোম, বাগদাদ, প্যারিস, লিসবন, জাকার্তা এবং নতুন দিল্লী অন্যতম। ১৯৭১- ৭২ সালে তিনি নতুন দিল্লীতে বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ছিলেন। ঐ সময় বাংলাদেশের স্বীকৃতির জন্য তিনি ৪০টিরও বেশি দেশে যোগাযোগ করেছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তীতে তিনি রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭২ সালে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বাংলাদেশে সংগঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পর, বঙ্গবন্ধু পরিবারের জীবিত দুই সদস্য শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে তিনি আশ্রয় দেন। এ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, "জার্মানির অ্যাম্বাসেডর হুমায়ুন রশীদ সাহেব গাড়ি পাঠিয়েছেন। আর তাঁর স্ত্রী আমার বাচ্চাদের জন্য শুকনো খাবারদাবারও গাড়িতে দিয়েছিলেন। তাঁদের কাছে কয়েকদিন আশ্রয় পেলাম। তাঁদের আদর–যত্ন দুঃসময় আমাদের জন্য অনেক মূল্যবান। আমরা কোনো দিন ভুলতে পারব না হুমায়ুন রশীদ ও তাঁর স্ত্রীর অবদান।" ১৯৭৬ সালের পর সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া এবং ভ্যাটিকানেও একই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
এছাড়াও, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ এবং জাতিসংঘের শিল্পাঞ্চল উন্নয়ন সংস্থা বা ইউনিডো'র প্রথম স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন তিনি।
১৯৮৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৪১তম অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
হুমায়ুন রশীদ চাকুরি থেকে অবসর নিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৮৪ সালে তাকে উপ-মন্ত্রীর পদমর্যাদায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা এবং ১৯৮৫ সালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়। তিনি সিলেট-১ ও সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সিলেট-১ ও সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে সদস্য সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সিলেট-১ আসন থেকে সদস্য সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যোগ দিয়ে উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন। ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে সিলেট-১ আসন থেকে সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৪ জুলাই ১৯৯৬ সালে তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হয়ে আমৃত্যু এ পদে বহাল ছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের কলেজ অব উইলিয়াম অ্যান্ড ম্যারি থেকে ১৯৮৪ সালে 'মহাত্মা গান্ধী শান্তি পুরস্কার' পান। বিশ্ব শান্তিকল্পে অনবদ্য কূটনৈতিক ভূমিকার জন্য তাকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও তিনি 'উ থান্ট শান্তি পদক' লাভ করেছিলেন। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকার মরণোত্তর 'স্বাধীনতা পুরস্কার' প্রদান করা হয়। এছাড়াও তার সম্মানে ঢাকা থেকে সিলেট শহরের প্রবেশপথে একটি চত্বরের নামকরণ করা হয়েছে 'হুমায়ুন রশীদ চত্বর'।
হুমায়ুন রশীদ মাহজাবিন রশীদ চৌধুরীকে (জ: ১৯৩৪ মৃ: ২০১৮) বিয়ে করেন। এই দম্পতীর একমাত্র মেয়ে নাসরিন আর করিম ১৯৪৯ সালে জন্মগ্রহণ করে ২০১০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। একমাত্র ছেলে নোমান রশীদ চৌধুরী ২ নভেম্বর ২০১৭ সালে ৬৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন।
হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ১০ জুলাই ২০০১ সালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। সিলেটের শাহজালালের মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে সমাহিত করা হয় তাকে।
এম. এ. মান্নান:
(জন্ম: ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং সাবেক সচিব যিনি তিনি সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও
বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইতিপূর্বে তিনি অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
এম এ মান্নান ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬ সালে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের ডুংরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে সারগোদায় অবস্থিত পাকিস্তান এয়ারফোর্স স্কুল থেকে ১৯৬২ সালে ওলেভেল সমাপ্ত করেন। মুরারিচাঁদ কলেজেও লেখাপড়া করেন তিনি। এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
এম এ মান্নান ১৯৭৪ সালে তৎকালীন সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান (সিএসপি) ক্যাডারে যোগদান করেন পর্যায়ক্রমে কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে পদোন্নতি পেয়ে সরকারের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক এবং এনজিও ব্যুারোতে মহাপরিচালক ছিলেন। ২০০৩ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পূর্বে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ইকোনমিক মিনিস্টার হিসেবে জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনেও দায়িত্ব পালন করেন।
এম. এ. মান্নান ২০০৫ সালে রাজনৈতিক জীবন শুরু করে প্রয়াত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের মৃত্যুজনিত কারণে ২০০৫ সালের সুনামগঞ্জ-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জয়ী হয়ে কয়েকটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ এবং ২০১৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্যও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিজয়ী হয়ে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিজয়ী হয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।
এম এ মান্নান ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। তার স্ত্রী জুলেখা মান্নান ঢাকার হলিক্রস কলেজের অধ্যাপক হিসেবে অবসর নিয়েছেন। মান্নান দম্পতির পুত্র সাদাত মান্নান আর কন্যা সারাহ্ মান্নান হোসাইন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।
ফারুক রশিদ চৌধুরী:
(জন্ম: ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৩২) বাংলাদেশের একজন রাজনিতিবিদ। তিনি এরশাদের মন্ত্রিসভায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ও মৎস্য ও পশুসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। সুনামগঞ্জ-৩ আসনের তিনি সদস্য সদস্য ছিলেন।
ফারুক রশিদ চৌধুরী ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৩২ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের সিলেট শহরের দরগাহ গেইটটের রশীদ মঞ্জিলে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস সুনামগঞ্জ জেলার দরগাপাশায়। তার বাবা আব্দুর রশীদ চৌধুরী ছিলেন অবিভক্ত ভারতের কেন্দ্রীয় বিধানসভার সদস্য এবং মা বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য। তিনি হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর ছোট ভাই।
তিনি সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে ১৯৮৭ সালের উপনির্বাচনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির হয়ে প্রথম সদস্য সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়ে সংসদ দ্বিতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ
ক্র. নং |
নাম |
কার্যকাল |
ঠিকানা |
মন্তব্য |
০১ |
জনাব ফারুক আহমদ |
২২/০২/২০০৯ হতে ১৯/০৩/২০১৪ পর্যন্ত |
গ্রাম: কান্দিগাঁও, ইউনিয়ন: পশ্চিম পাগলা |
|
০২ |
জনাব আবুল কালাম |
২০/০৩/২০১৪ হতে ০৭/০২/২০১৪ পর্যন্ত |
গ্রাম: শত্রুমর্দ্দন ইউনিয়ন: পশ্চিম পাগলা |
|
০৩ |
জনাব তৈয়বুর রহমান চৌধুরী |
০৮/০২/২০১৯ হতে ১৮/০৪/২০১৯ পর্যন্ত |
গ্রাম: শাখাইতি, ইউনিয়ন: শিমূলবাঁক |
প্যানেল চেয়ারম্যান |
০৪ |
জনাব ফারুক আহমদ |
১৮/০৪/২০১৯ হতে ০১/০৭/২০২৪ পর্যন্ত |
গ্রাম: কান্দিগাঁও, ইউনিয়ন: পশ্চিম পাগলা |
|
০৫ |
জনাব সাদাত মান্নান |
০১/০৭/২০২৪ হতে চলমান |
গ্রাম: ডুংরিয়া, ইউনিয়ন: জয়কলস |
|
দর্শণীয় স্থান/ স্থাপনা: